সোমবার, ২৪ চৈত্র, ১৪৩১ | ৭ এপ্রিল, ২০২৫ | রাত ১২:৩৪

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন, নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন, দখলদারিত্ব এবং নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে ইসলামিক সংস্থা আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার নিপীড়িত জনগণ যখন রক্তাক্ত, তখন ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়া প্রতিটি বিবেকবান মানুষের দায়িত্ব।

রবিবার (৬ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা থেকে আগত ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল আনটিল জেনোসাইট স্টপস’ এই ডাক শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি মানবতার পক্ষ থেকে একটি চূড়ান্ত আহ্বান। মাজলুম গাজাবাসীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী ডাকা হরতালের সঙ্গে আমরা পূর্ণ সংহতি ঘোষণা করছি।

আরও বলা হয়, আমরা আহ্বান জানাচ্ছি— দল-মত নির্বিশেষে, কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক ব্যানারে নয়, বরং বাংলাদেশ ব্যানারে সবাই যেন রাজপথে নেমে দাঁড়িয়ে যায় এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত— সবকিছু বন্ধ রেখে, সক্রিয়ভাবে রাজপথে দাঁড়ানো হোক গাজার জন্য, মজলুম ফিলিস্তিনিদের জন্য। খুনি নেতানিয়াহুর রক্তপিপাসু নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এখন শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, বরং এটি ঈমানের দাবি।

আমরা হয়তো সরাসরি গাজায় গিয়ে লড়তে পারছি না, কিন্তু নিজেদের দেশে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে তাদের সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে পারি। প্রত্যেক জেলা, উপজেলা ও অঞ্চলে ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি হিসেবে কয়েকজন এগিয়ে এসে এই কর্মসূচিকে সফল করুক। এ আন্দোলন হোক কোনো গোষ্ঠীর হয়ে নয়, মানবতার পক্ষে বলেও জানায় ইসলামিক সংস্থাটি।

মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, ৭ এপ্রিল স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন করে আমরা ঘোষণা দেই— ‘গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’।

ট্যাগ :

সর্বশেষ প্রকাশিত

ইউটিউবে যুক্ত হোন

সম্পাদক:

কপিরাইট ২০২৫ | ফাইন্ডিং পলিটিক্স