বৃহস্পতিবার, ২০ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩ এপ্রিল, ২০২৫ | রাত ১:৫২

রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অনুসরণীয় উদাহরণ তৈরি করেছে: আন্তোনিও গুতেরেস

রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজার ও তার আশপাশের এলাকার সমাজে, পরিবেশে এবং অর্থনীতিতে একটি বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, এটির ফলে একইভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়ছে। যেখানে বিশ্বে অন্য অনেক দেশের সীমান্ত বন্ধ সেখানে এই উদারতা অসামান্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ তৈরি করেছে, যা অনুসরণীয়। কারণ আপনাদের আতিথেয়তার সুবিধা তারা ভোগ করছে, যেখানে অন্য কোনও সুযোগ ছিল না। ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে অসাধারণ উদারতা দেখানোর জন্য আমি বাংলাদেশকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মহাসচিবের সম্মানে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমি অভিভূত বাংলাদেশের আতিথেয়তা দেখে। বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমে আমার পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি। যা কিনা বিশ্বের একটি পারফেক্ট গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থন পাবে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা নাটকীয়ভাবে আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়েছি। যার ফলে রোহিঙ্গাদের খাবারের রেশন কমাতে হয়েছে। এই মানবিক সহায়তা জোগাড়ে সহায়তা করুন, যাতে করে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা তাদের কর্মসূচি এই বছরের শেষ পর্যন্ত আগের মতোই সচল রাখতে পারে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা কমে যাওয়া বিধ্বংসী হতে পারে। আমি আপনাদের সংহতি এবং সহায়তার ওপর নির্ভর করছি।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, একইসঙ্গে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্বরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সম্মান জানাতে চাই। বাংলাদেশ এবং নেপাল সব সময় এই জায়গায় প্রথম দিকে অবস্থান করে। কিন্তু কঠিন অপারেশনে বাংলাদেশি বাহিনীর অসামান্য উদারতা আমাদের কাছে কৃতজ্ঞতা পাওয়ার দাবিদার। মালি থেকে শান্তিরক্ষী প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত বেশ কঠিন ছিল আমাদের জন্য। মালির নিরাপত্তায় শেষ বাহিনী ছিল বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার দল যে কাজ করছে তা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সংহতি পাবে।

ট্যাগ :

সর্বশেষ প্রকাশিত

ইউটিউবে যুক্ত হোন

সম্পাদক:

কপিরাইট ২০২৫ | ফাইন্ডিং পলিটিক্স