সোমবার, ২৪ চৈত্র, ১৪৩১ | ৭ এপ্রিল, ২০২৫ | রাত ২:১৩

মাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হামলাকারীরা ফ্যাসিবাদের দোসর: বাংলাদেশ ন্যাপ

মাজারসহ ভিন্ন মতের বিশ্বাসীদের স্থাপনায় হামলাকারী গোষ্টি ও ব্যক্তিরা ২৪’র ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরাজিত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুচরের মতোই আচরণ করছেন বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)। রাজনৈতিক দলটি বলছে, কোনো বিবেকবান মানুষ এমন অপরাধ ও অন্যায়কে সমর্থন করেন না।

বুধবার (১৮ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। এছাড়া পবিত্র রমজানের সময় রবিবার রাতে বরগুনায় ইসমাইল শাহ’র মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ, ক্ষোভ এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের মাধ্যমে ঐ গোষ্টি ইসলামি রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের যেমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কিত করছে, তেমনভাবেই দেশে বিশৃংল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্র করছে। এই সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে অবিলম্বে হামলাকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

আরও বলা হয়, আসলে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের নামে ওরা কারা? কি চায় ওরা, কোন গোষ্টি ক্রড়িানক হিসাবে তারা ব্যবহৃত হচ্ছে? বহু মত ও পথের বাংলাদেশের সকল অর্জন ধ্বংস করে যারা দেশে নতুন ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারাই বরগুনায় রাতের আঁধারে মাজারে হামলা করে অগ্নি সংযোগ করেছে এটি দিবালোকের মত স্পষ্ট। এরা সমাজের ধর্মের নামে বিভক্তি আরো বৃদ্ধি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।

তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে এই পর্যন্ত যত দরবার, মাজার, বাউল সংগীতের অনুষ্ঠানে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখার যাবে সকল কিছুই পেছনে ধর্মীয় ছদ্মাবরণে পতিত স্বৈরাচার ও সামরাজ্যবাদী-আধিপত্যপত্যবাদী শক্তির পরোক্ষ মদদ রয়েছে। এই সব ধ্বংসাত্মক কাজগুলোতে সাধারণ ও স্বরলপ্রাণ মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের ব্যবহার করা হচ্ছে ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট দল ও ব্যক্তিদের দেশের সাধারণ মানুষ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে উগ্রবাদী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

সর্বশেষ প্রকাশিত

ইউটিউবে যুক্ত হোন

সম্পাদক:

কপিরাইট ২০২৫ | ফাইন্ডিং পলিটিক্স