বুধবার, ১২ চৈত্র, ১৪৩১ | ২৬ মার্চ, ২০২৫ | সন্ধ্যা ৭:৩৮

সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল বলেই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে: রাশেদ খান

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করছে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যদি সেনাবাহিনী ভূমিকা না রাখতো, তাহলে অভ্যুত্থানে সফল হতো না। যখন সেনাবাহিনীর বন্দুকের নল আওয়ামী লীগের দিকে, ফ্যাসিস্ট পুলিশের দিকে তাক করেছিল, তখনই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে। এখন সেই সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৪) সন্ধ্যায় যশোর শহরের একটি হোটেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যারা সেনাপ্রধানকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছেন তাদের উদ্দেশ্য করে রাশেদ খান বলেন, ‘একটি পক্ষ সেনাবাহিনীকে উসকানি দিয়ে আর একটি এক-এগারো তৈরি করার চক্রান্ত করছে। জনগণকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করা হচ্ছে। এই চক্রান্তের সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা জড়িত। তাদের বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। সেনাপ্রধানকে সরিয়ে আর একটি ফখরুদ্দিন, মইন উদ্দিন হবে না– তার কিসের নিশ্চয়তা রয়েছে!’

তবে তিনি সেনাবাহিনীকে শেখ হাসিনা বিতর্কিত করেছেন বলে মন্তব্য করেন। এজন্য তিনি সেনাপ্রধানের প্রতি সেনাবাহিনীকে সংস্কারের তাগিদ দেন।

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে রাশেদ খান বলেন, ‘এই সরকারের দায়িত্ব অনেক। এই সরকার যদি গণহত্যার বিচার সঠিকভাবে না করতে পারে; তাহলে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করবে। এই সরকার যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করতে পারে, তাহলে দুই হাজার শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করবে।

‘এই মুহূর্তে সব রাজনৈতিক দল একতাবদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে। আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার পরেও এই দল কোনোভাবেই আর রাজনীতি করতে পারে না। এই ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যমত দরকার।’

জুলাই আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমালোচনা করে রাশেদ বলেন, ‘যে ছাত্রনেতারা আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখলো; তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজির অভিযোগ আসছে। শুধু শিক্ষার্থীদের না; রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ। আমরা কেউ আওয়ামী লীগ হবো না। আমরা যদি আওয়ামী লীগের মতো চাঁদাবাজি, অত্যাচার, দুর্নীতি, ঘুষবাণিজ্যে লিপ্ত হই, বাংলাদেশের মানুষ আমাদেরও প্রত্যাখ্যান করবে।’

অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের যশোর জেলা শাখার সভাপতি এবিএম আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন– বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, গণঅধিকার পরিষদের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল, যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন প্রমুখ।

ট্যাগ :

সর্বশেষ প্রকাশিত

ইউটিউবে যুক্ত হোন

সম্পাদক:

কপিরাইট ২০২৫ | ফাইন্ডিং পলিটিক্স